top of page

এখানে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াটি কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় এটির উপর কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া আছেঃ

 

  • কোম্পানি সম্বন্ধে গবেষণাঃ প্রতিষ্ঠান, পদ এবং ব্যক্তি যিঁনি আপনার বস্‌ হতে পারেন এদের সাথে পরিচিত হওয়া ভালো। আপনি যে ধরনের চাকরি খুঁজছেন তার সাথে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাগুলো মিল রাখার চেষ্টা করুন।

  • ভালো দেখানোঃ প্রথম দর্শনই দীর্ঘস্থায়ী হয়, সুতরাং এটি বিবেচনায় রাখুন। আপনার আত্মবিশ্বাস এবং পেশাদারী মনোভাব প্রদর্শন করা প্রয়োজন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও উপযুক্ত পোশাক পরিধান করুন, কিন্তু ভারী গয়না, অতিরিক্ত পারফিউম অথবা অত্যধিক সুগন্ধি বিশেষ কিছু ব্যবহার করবেন না।

  • ইন্টারভিউ এর স্থান সম্পর্কে জানুনঃ আগেই স্থানটিতে পৌঁছানো অথবা যানবাহনের বিষয়টি বিবেচনা করুন। তাড়াতাড়ি করে কোন সুবিধাজনক পন্থা খুঁজে বের করার চেষ্টা আপনার শঙ্কিত করতে পারে।

  • আপনার জীবনবৃত্তান্ত জানুনঃ আপনার শিক্ষা ও কর্মজীবনের প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আলোচনা এবং নিজেকে সুকৌশলে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

  • চাকরি নয়, ইন্টারভিউ এর উপর অধিক মনোনিবেশ করুনঃ সাক্ষাৎকারগ্রহীতা আপনার সম্পর্কে জানার পর আপনি এটি চান কিনা এবং কাজটি মূল্যায়ন করার সময় পাবেন। তাই এই মুহুর্তে, আপনার লক্ষ্য হলো একটি ইতিবাচক প্রস্তাব অথবা দ্বিতীয়বার ইন্টারভিউ এর আমন্ত্রণ পাওয়া। তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যদি আপনি যে রকম চান চাকরিটি সে রকম হয়।

  • আপনার পূর্ববর্তী অবদান সম্পর্কে আলোচনা করুনঃ সম্ভাব্য নিয়োগকর্তারা আপনি পূর্বের চাকরিতে কিভাবে একটি বৈচিত্রতা তৈরি করেছিলেন তা জানতে খুব আগ্রহী হয়। একটি উপায়ে, আপনাকে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাকে উপলব্ধি করানো প্রয়োজন যে আপনি যথাযথভাবে কোম্পানির চাহিদা পূরণ করেছেন।

  • নিজেকে জাহির করার উপায়গুলো খুঁজুনঃ আপনি কিভাবে ভালো(উপযুক্ত) তা নিয়োগকর্তাকে বলার সুযোগ বের করে নিন। সাবধান ইহাতে যেন অহংকার প্রকাশ না পায়, কিন্তু আপনি আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বিশ্বাসের সাথে বলুন।

  • অতিরঞ্জিত কোন কিছু এড়িয়ে চলুনঃ আপনি সতর্কতার সাথে কথা বলুন এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলবেন না। অধিকাংশ লোক যা তারা শোনে তার ২০ শতাংশ শুধু ধরে রাখতে পারে। সুতরাং, আপনার বাচন উক্তি নির্বাচন করুন, স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং সঠিক পয়েন্ট তুলে ধরুন।

  • ইন্টারভিউ এর কথা কল্পনা করে ভীত হবেন নাঃ এটি শুধু একটি ইন্টারভিউ, কোন ফাঁসিকাঠ তো নয়, আগেই অভিজ্ঞতর কথা চিন্তা করুন। আপনার বডি ল্যাংগুয়েজ, চক্ষু যোগাযোগ, শারীরিক উপস্থাপনা, প্রয়োজনীয় জিনিস এবং পোশাক ইত্যাদি এর মতো জিনিসপত্রের কথা আগেই জানার চেষ্টা করুন।

  • যত্নসহকারে শুনুনঃ আপনি উত্তর দেওয়ার পূর্বে কিছু সময় বিরতি নিন এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে প্রশ্নকর্তা তাঁর কথা শেষ করেছেন।সরাসরি এবং সুস্পষ্টভাবে উত্তর দিন। যদি আপনি না বুঝতে পারেন তাহলে ঐ ব্যাপারটি বোঝার জন্য জিজ্ঞাসা করুন।

  • আপনার প্রশ্নগুলো করুনঃ এছাড়া আপনিও কোম্পানির ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে প্রশ্ন করার মাধ্যমে শুরু করুন এবং কর্মে অগ্রগতি, কাজের শর্তসমূহ(নিয়মাবলী, পরিবেশ ইত্যাদি)বিষয়ে প্রশ্ন করুন। পরিশেষে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতা নির্ধারণ করুন।

  • গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখে রাখুনঃ যাঁরা আপনার ইন্টারভিউ গ্রহণ করেছেন তাঁদের নাম এবং পদবি লিখে রাখুন। বানানের শুদ্ধতা নিশ্চিত করুন, পরবর্তীতে এসব তথ্য আপনার প্রয়োজন হতে পারে।

  • চুপিসারে(পালিয়ে)প্রস্থান করবেন নাঃ ইন্টারভিউ এর পর, মাথা নিচু করে শুধু ইন্টারভিউ স্থান ত্যাগ করবেন না। আপনি সত্যিই চাকরিটি করতে আগ্রহী এবং আপনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে যেতে প্রস্তুত নিয়োগকর্তাকে এটি জানিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে একটি ভালো প্রভাব সেখানে তৈরি করার চেষ্টা করুন। যদি এটি সঠিক মনে না হয় তবে সাধারণভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন।

  • প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করুনঃ যে ধরনের কাজ আপনাকে করতে পারেন এবং অন্যান্য তথ্য যা কোম্পানিটির সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি যথার্থ চিত্র প্রদান করতে পারে অথবা পণ্যদ্রব্য তথ্য, বার্ষিক রিপোর্ট সংগ্রহ করুন।

  • অদৃশ্য না হওয়াঃ এমনকি যদিও আপনি শহরের বাহিরে থাকেন তথাপি ইন্টারভিউ এর পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করার উপায় থাকতে হবে।


 

প্রচলিত প্রশ্নের উত্তর:

এখানে যে কোন ধরনের চাকরির সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ প্রশ্নের একটি তালিকা দেওয়া আছে। একজন সাক্ষাৎকারগ্রহীতা আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন তার সাথে প্রাসঙ্গিক কোন্‌ প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করতে পারেন সেটি নোট করে রাখুন।

 

  • নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন

ইন্টারভিউয়ে এই প্রশ্নটি প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা হয়ে থাকে। আপনাকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রস্তুত রাখতে হবে। কিন্তু সাবধান থাকবেন এটি যেন মুখস্থ না মনে হয়। যতক্ষণ অন্য কছু নির্দেশ না করে ততক্ষণ ইহা কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়ে সীমাবদ্ধ রাখুন। আপনি কি করেছেন এবং আপনার প্রার্থীত পদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলুন। সবচেয়ে দূরবর্তী(অতীত) কোন আইটেম দিয়ে শুরু করুন এবং যা বর্তমানে করছেন সেটিও বলুন। যেহেতু একটি ইন্টারভিউয়ে প্রায়ই এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা হয়ে থাকে তাই আরো একটু সাবধান থাকুন যে আপনি অপ্রাসঙ্গিক কোন কিছু বলবেন না। সর্বোচ্চ এক অথবা দুই মিনিটে আপনার উত্তর দিন। সাম্প্রতিক কর্ম অভিজ্ঞতা, কর্ম ইতিহাস, শিক্ষা, আগের বছরগুলো, ব্যক্তিগত তথ্যসহ পাঁচটি টপিক তুলে ধরুন। কিন্তু সাম্প্রতিক কর্ম অভিজ্ঞতার উপর বেশি জোর দিন। মনে রাখবেন, এটি আপনার প্রস্তুতি প্রশ্ন হতে পারে। সুতরাং এটির উপর আপনার সেরা পয়েন্টগুলো নষ্ট করবেন না।

 

  • আপনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা কি? অথবা, আপনি কোন্‌ বিষয়ে পারদর্শী?

এই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন হওয়া ভালো, শুধু ইতিবাচক থাকুন। কয়েকটি ভালো উদাহরণ হতে পারে ১. অগ্রাধিকারভিত্তিতে আপনার ক্ষমতা ২. আপনার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ৩. চাপের মধ্যেও আপনার কাজ করার ক্ষমতা ৪. প্রজেক্টের উপর ফোকাস করার ক্ষমতা ৫. আপনার পেশাগত দক্ষতা ৫. নেতৃত্বের দক্ষতা ৬. কাজের প্রতি আপনার ইতিবাচক মনোভাব ইত্যাদি, উপরন্তু আপনার দৃঢ় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাকগ্রাউণ্ড।

 

  • আপনার দুর্বলতা সম্পর্কে কিছু বলুন. অথবা আপনার দুর্বলতা কি?

এই প্রশ্নগুলো করার মাধ্যমে নিয়োগকর্তা দেখতে নিজের চান আপনি কতটা সৎএবং আপনি আপনার দুর্বলতাকে কতটা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করতে পারেন বা করেন। এটি একটু চতুর প্রশ্ন, সর্বোপরি কেউ চায় না তার দূর্বলতাগুলো প্রকাশ করতে কিন্তু আমাদের সবার কোন না কোন দূর্বলতা অবশ্যই আছে। আপনার কোন দূর্বলতা নেই এমন ভান করবেন না এবং প্রশ্নটির উত্তর এড়িয়ে যাবেন না। এটিই সুযোগ যেটির মাধ্যমে আপনি জানাতে পারেন যে আপনি কতটা সৎ এবং আপনার দূর্বলতা দূর করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন।এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার একটি ভালো উপায় হলো প্রথমে আপনার দূর্বলতা উল্লেখ করা এবং আপনার দূর্বলতা দূর করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন তা বলা। যদি আগে আপনি এলোমেলো ছিলেন, তাহলে বলতে পারেন, "আমি খুব এলোমেলো ছিলাম, সব সময় জন্মতারিখ এবং এসাইনমেন্ট ভুলে যেতাম। কিন্তু আমি একটি কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের কাজের তালিকা প্রস্তুতে কাজ করেছি এবং রিমাইন্ডার আছে যা আমাকে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে।" আপনি আরো বলতে পারেন, "আমার বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য কোন যানবাহন সোজা পথে অথবা বাস নেই। সুতরাং বৃষ্টির দিনে রিকশা খুঁজে বাস স্টপে পৌঁছানো কঠিন। মাঝে মধ্যে আমার অফিসে যেতে দেরি হতে পারে। তাই এখন বৃষ্টির দিনে আমি খুব সকালে ঘুম থকে উঠি, ফলে আমি সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারি।" .এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার একটি ভালো উপায় হলো প্রথমে আপনার দূর্বলতা উল্লেখ করা এবং আপনার দূর্বলতা দূর করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন তা বলা। যদি আগে আপনি এলোমেলো ছিলেন, তাহলে বলতে পারেন, "আমি খুব এলোমেলো ছিলাম, সব সময় জন্মতারিখ এবং এসাইনমেন্ট ভুলে যেতাম। কিন্তু আমি একটি কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের কাজের তালিকা প্রস্তুতে কাজ করেছি এবং রিমাইন্ডার আছে যা আমাকে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে।" আপনি আরো বলতে পারেন, "আমার বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য কোন যানবাহন সোজা পথে অথবা বাস নেই। সুতরাং বৃষ্টির দিনে রিকশা খুঁজে বাস স্টপে পৌঁছানো কঠিন। মাঝে মধ্যে আমার অফিসে যেতে দেরি হতে পারে। তাই এখন বৃষ্টির দিনে আমি খুব সকালে ঘুম থকে উঠি, ফলে আমি সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারি।"এই ধরনের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সব্‌চে কার্যকরী পন্থা হলো একটি নেতিবাচক কাজকে ইতিবাচক কাজে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা।

 

  • আপনি কি নিজেকে সফল মনে করেন?

এই প্রশ্নের উত্তর সর্বদা হ্যাঁ বলবেন এবং সংক্ষেপে বলবেন কেন তা মনে করেন। একটি ভালো হলো- আপনি কিভাবে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন এবং সেগুলোর কিছু পূরণ হয়েছে ও বাকিগুলোও পুরণ হওয়ার পথে।

 

  • আপনি এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কি জানেন

ইন্টারভিউ এর পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে কিছু গবেষণা করা উচিত। খুঁজে বের করুন এটি আগে কোন পর্যায়ে ছিল এবং এখন কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাস, জনবল, দর্শন, লক্ষ্য, সমস্যাসমূহ, সুনাম, ভাবমূর্তি, বার্ষিক আয়কর, পণ্যদ্রব্য সম্বন্ধে আপনার আলোচনা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। কিন্তু আপনি এটি সম্পর্কে সব জানেন এমন আচরণ করবেন না। কিছু গবেষণা করে সংক্ষিপ্ত সময় নিয়ে আপনি প্রশ্নটির উত্তর দিনএমন একটি ভাব দেখান, সাক্ষাৎকারগ্রহীতাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করবেন না। বরং এটি নিশ্চিত করুন যে আপনি এ ব্যাপারে আরো জানতে আগ্রহী। আপনি এভাবে শুরু করতে পারেনঃ "আমার চাকরি খুঁজতে আমি কয়েকটি কোম্পানি সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছি। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের মধ্যে একটি এবং আমি খুব উৎসাহী।আরসেইকারণগুলো হলো- "আপনার বাচন ভঙ্গি ইতিবাচক রাখুন। বলবেন নয়া, "ঠিক আছে, প্রত্যেকে আমাকে বলল যে আপনারা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এবং সেই করণেই আমি এখানে এসেছি, এমনকি যদিও আপনারা সেখানে আছেন। "

 

  • আপনি কি অন্যান্য চাকরিতে আবেদন করছেন

সত্যি কথা বলুন, কিন্তু এই বিষয়ে বেশি সময় আলোচনা করবেন নয়া। আপনি এই চাকরিটির জন্য কতটা আগ্রহী এবং কিভাবে আবদান রাখতে পারবেন সে ব্যাপারে আলোচনা করুন। অন্যথায় সব পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।

 

  • কেন আপনি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে চান?

এই ব্যাপারটা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনার করা গবেষণার ওপর । আপনার দীর্ঘমেয়াদী কর্মজীবনই আপনার লক্ষ্য ।

 

  • আপনার জীবনবৃত্তান্ত দেখে মনে হচ্ছে এই পোস্টের জন্য আপনি অতিরিক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন বা অতিরিক্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। আপনার কি মনে হয়?

দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার আপনার ইচ্ছা পোষণ করুন। এবং বলুন আপনি যদি কাজ যদি খুব ভালো হয় তাহলে আপনার জন্য আরো ভালো পদে যাবার সুযোগ বেড়ে যাবে।একটি ভালো কোম্পানির দরকার কিছু যোগ্যতাসম্পন্ন স্টাফ।অভিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ সবসময়ই কম্পানির জন্য সম্পদ।পরামর্শ দেন যেহেতু আপনি যোগ্যতাসম্পন্ন তাই আপনার দ্বারা "Return Of Investment" দ্রুত পাওয়া যাবে। ক্রমবর্ধমান একটি কোম্পানির জন্য অভিজ্ঞ মানুষের সবসময়ই প্রয়োজন থাকে

 

  • গুরুত্বপূর্ণ কি প্রবণতা আপনি আমাদের শিল্পে দেখেন?

আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে কত ভালো তা বোঝানোর জন্য দু-তিনটি প্রবনতার কথা জেনে রাখুন আপনার শিল্প ভবিষ্যতে কোথায় যাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে আপনি টেকনোলজির চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক অবস্থা অথবা নিয়ন্ত্রক দাবীর কথা বলতে পারেন

 

  • কিভাবে আপনি কাজের চাপ সামলাবেন?

বহুল প্রচলিত একটি ইন্টারভিউ প্রশ্ন, যা জিজ্ঞেস করা হয়, "কিভাবে আপনি কাজের চাপ সামলাবেন",ভালো উত্তরের কিছু উদাহরণ হলো:

  1. আমি চাপ না বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করি। পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করলে তখন কাজের চাপ কমে যায়

  2. সত্যি কথা বলতে কি আমি চাপের মধ্যে বেশি কাজ করতে পারি এবং আমি প্রতিযোগিতামূলক ব্যাপার গুলো উপভোগ করি

  3. দায়িত্বগুলো অগ্রাধিকার অনুযায়ী ভাগ করি যা আমার কাজের প্রেসার কিছুটা কমিয়ে দেয় ।

 

  • আপনি আপনার আগের চাকরিটি কেন ছেড়েছেন?

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন , ইতিবাচক থাকুন। ম্যানেজমেন্ট এর উপর দোষ চাপাবেন না অথবা অসুস্থতার অজুহাত দিবেন না। উন্নতি করার চেষ্টা বা ভালো সুযোগের কারণ তুলনামূলক ভাবে বেশি যুক্তিযুক্ত।

 

  • কাজের ক্ষেত্রে আপনার কি কি অভিজ্ঞতা আছে?

সেই সব অভিজ্ঞতার কথায় বলুন যা আপনার ইন্টারভিউ পোস্ট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। যদি না থাকে তাহলে কাছাকাছি যেসব অভিজ্ঞতা আছে তা বলুন।

 

  • কি ধরনের বেতন আপনি আশা করছেন?

একটি ভিন্ন ধরনের খেলা যা হেরে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে যদি আপনি প্রথমেই উত্তর দেন। তাই উত্তর না দিয়ে বরং বলতে পারেন যে "প্রশ্নটি একটু কঠিন, এই পোস্ট এর জন্য বেতনের পরিসর কেমন তা কি আমাকে জানাতে পারবেন?" বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাক্ষাত্কারক আপনাকে জানাবেন। যদি না জানায় তাহলে বলবেন "তা নির্ভর করে চাকরিটির দায়িত্বের উপর।" তারপর বেতনের একটি পরিসর বলুন যা এই পোস্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ । যদি ইন্টারভিউ এর প্রথমদিকে প্রশ্নটি করা হয় তাহলে আপনি বলতে পারেন এই পোস্টে আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে আরো বেশি তথ্য পেলে আপনি বেতনের ব্যাপারটি বলতে পারবেন।

 

  • আপনি কি দলগত ভাবে কাজ করেন?

আপনাকে অবশ্যই দলগত ভাবে কাজ করতে হবে। উদাহরণ প্রস্তুত রাখতে ভুলবেন না। নিজের ভালোর চেয়ে দলের ভালো হয় এমন মনোভাবই হলো দলগতভাবে কাজ করা।বড়াই করার কিছু নেই, সাধারণভাবেই বলা উচিত

ব্যাখ্যা করুন কিভাবে আপনি এই কোম্পানির জন্য সম্পদ হতে পারেনএই প্রশ্নের জন্য আপনার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। এটা পোস্টের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হিসাবে আপনার ভাল পয়েন্ট তুলে ধরতে একটি সুযোগ দেয়। এই সম্পর্কে আগে থেকেই ভেবে রাখুন ।

 

  • আপনার স্বপ্নের চাকরিটি কেমন

নির্দিষ্ট কোনো কাজ করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই।আপনি জিততে পারবেন না। আপনি যদি বলেন যে আপনি ঠিক এই চাকরিটিই চেয়েছিলেন তাহলে আপনি অতিরিক্ত বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করার চেষ্টা করছেন। আপনি যদি বলেন এই চাকরিটি তেমন চাননি তাহলে মনে হবে এই চাকরি বা পোস্ট এ সন্তুষ্ট নন। সর্বোত্তম উপায় হলো সাধারণ ভাবে কিছু বলা, যেমন: যেই চাকরিতে কাজ ও মানুষ পছন্দ হওয়ার মত এবং যেখানে আমি কিছু অবদান রাখতে পারব সেখানে যত তারাতারি কাজ শুরু করা সম্ভব ততই ভালো

 

  • আপনার কাছে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ: কাজ না টাকা?

টাকা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ তবে তা কখনো কাজ থেকে বেশি নয়। এটি একটি ভালো উত্তর।

 

  • চাপের মধ্যে আপনার কাজ করার ক্ষমতা সম্পর্কে বলুন

আপনি বলতে পারেন কোন ধরনের চাপের মধ্যে আপনার কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রয়োজন হলে উদাহরণ দেয়া যেতে পারে

 

  • চাকরিতে কোন ব্যাপারটি আপনাকে কাজ করতে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করে?

এই প্রশ্নটির উত্তর সত্যি কথা বলতে আপনিই ভালো বলতে পারবেন তবে ভালো উদাহরণ হলো: চ্যালেঞ্জ,প্রাপ্তি, স্বীকৃতি।

 

  • প্রয়োজন হলে নতুন কোনো স্থানে কাজ করতে কি আপনি ইচ্ছুক?

যদি আপনি আগে থেকেই বুঝতে পারেন যে এই ধরনের প্রশ্ন করতে পারে এবং চাকরিটি পাওয়ার একটি ভালো সুযোগ আপনার আছে তাহলে আপনার উচিত পরিবারের সাথে আগেই ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলা। আপনার হা বলা উচিত নয় যদি সত্যিকার উত্তর হয় না। এর দরুন আপনার ক্যারিয়ার এ পরে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সথ হন এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উত্তর দিন।

 

  • চাকরিতে করা ভুল থেকে আপনি কি শিখতে পেরেছেন

এখানে আপনাকে কিছু ভুলের কথা নিয়ে আসতে হবে, না হলে মনে হবে আপনি কিছু যোগ্যতা হারাবেন। সংক্ষিপ্ত রাখুন এবং দেখান আপনি ভালো কিছু শিখতে পেরেছেন।

 

  • চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীর মধ্যে আপনি কি খোঁজেন

দক্ষতা, উদ্যোগ এবং অভিযোজন এর ভিত্তিতে চিন্তা করুন যা দিয়ে সে দলগত ভাবে মিলে কাজ করতে পারে। দক্ষতা, উদ্যোগ এবং অভিযোজন এর ভিত্তিতে চিন্তা করুন যা দিয়ে সে দলগত ভাবে মিলে কাজ করতে পারে। তাই বলুন যে আপনি সেই ধরনের মানুষকে চাকরি দিবেন যে সবার সাথে মিশে কাজ করতে পারে ।

 

  • একজন পরিচালক বা নির্বাহী সম্পর্কে কোন জিনিসটি সবচেয়ে কঠিন বলে মনে করেন

বলুন পরিকল্পনা,বাস্তবায়ন ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ। সবচেয়ে কঠিন কাজ কিছু সময় ও বাজেটের মধ্যে পরিকল্পনা এবং সম্পন্ন করার জন্য কর্মচারী প্রেরণা ও পরিচালনা করা ।

 

  • আপনি কেন আগের চাকরিটি ছেড়েছেন/ বর্তমান চাকরিটি ছাড়ছেন?

সৎ থাকুন এবং সংক্ষেপে সত্যিকার কারণটি যতটুকু বলা যায় বলুন। আপনার চাকরি খোঁজার পরিকল্পনাটি বলুন। আপনার চাকরি খোঁজার পরিকল্পনাটি বলুন যেখানে এই বক্তব্যটি আপনি আপনার রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। তবে তা বলুন যদি আপনার অন্য কোনো ভালো কারণ না থাকে। আর না হলে বলতে পারেন সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি আপনার ছিল। ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ বিষয়ক কোনো ব্যাপার উল্ল্যেখ না করাই শ্রেয়। সাক্ষাত্কারক এই বিষয়টি নিয়ে সময় ব্যয় করবে যদি সে জেনে থাকে যে চাকরি থেকে আপনাকে বের করে দেয়া হয়েছে। "We agreed to disagree", পদক্ষেপটি খারাপ নয়। মনে রাখুন আপনার রেফারেন্স চেক করার সম্ভাবনা খুবই বেশি, তাই ইন্টারভিউর জন্য কোনো গল্প বানানো উচিত নয়।

 

  • আপনার (বর্তমান/আগের) চাকরির কোন বিষয়টি সবচে ভালো এবং কোনটি সবচেয়ে খারাপ আপনার মতে ?

সতর্ক এবং ইতিবাচক থাকুন। খারাপের চেয়ে ভালো লাগার ব্যাপারগুলি বেশি বলুন। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলবেন না। আপনি যদি আগের চাকরিটি ভয়াবহ আকারে প্রকাশ করুন তাহলে ইন্টারভিউয়ার ভাববেন কেন আপনি সেখানে এতদিন কাজ করেছেন।

 

  • আপনার বস সম্পর্কে আপনার কি মতামত?

যতটুকু সম্ভব ইতিবাচক থাকুন। কারণ আপনি এখন যা বলবেন আপনার ভবিষ্যত বস সম্পর্কে পরে তাই বলবেন, এমনটি ধারণা করে নেয়া হয়

 

  • আমার জন্য কি আপনার কোনো প্রশ্ন আছে?

কিছু প্রশ্ন আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা ভাল। "How soon will I be able to be productive?" এবং "What type of projects will I be able to assist on?", হলো কিছু উদাহরণ।

 

  • ১০ বছর পর আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান ?

একটু সাবধান থাকুন। আপনার এই ধরনের কোনো ছাপ রাখা উচিত নয় যেন মনে হয় আপনি এই কোম্পানিটি শুধুমাত্র সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন অন্য কথাও যাওয়ার। বরং এই কোম্পানির কোনো উচ্চতর কোনো পদে যাওয়ার কথা আপনি বলতে পারেন।এটি একটি তরুণ একাউন্টেন্ট এর গল্প যাকে CPA (Certified Public Accountant) প্রশ্নটি করেছিল। তরুণ একাউন্টেন্ট উত্তরে বলেছিল সে নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক হিসেবে দেখতে চান।অন্য কথায় "I'm just using your firm to teach me and then after you spend your resources training me, I will leave to go work for someone else." বলা বাহুল্য সে চাকরিটি পায়নি। কারণ তারা জানেন এখন যারা চাকরিতে ঢুকবেন তারা ১০ বছর পর থাকবেন না, কিন্তু তারা কখনই চান না যে কেউ আগে থেকেই এই পরিকল্পনা নিয়া আসুক।

 

  • আপনার ম্যানেজমেন্ট শৈলী বর্ণনা করুন

লেবেল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। প্রগতিশীল, বিক্রয়িক বা ঐক্যমত্য মত আরো সাধারণ কিছু লেবেল, যার ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ উপর নির্ভর করে বিভিন্ন অর্থ বা বর্ণনা থাকতে পারে। পরিস্থিতিগত স্টাইলটি নিরাপদ, কারণ এটা সব ধরনের পরিস্থিতি ম্যানেজ করার সম্ভাবনা থাকে।

 

 

শেষ কথা:

ইন্টারভিউয়ে কি ঘটবে নিশ্চিতভাবে তা বলা প্রকৃতপক্ষে খুব কঠিন. কিন্তু প্রচলিত ইন্টারভিউ প্রশ্নগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া যায়। সময় নিন সেগুলোর উত্তর চিন্তা করার। এমনকি তা আপনি লিখেও ফেলতে পারেন। আপনার উত্তরগুলি যে পোস্টে আবেদন করেছেন তার দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া চাই। শুভকামনা রইলো।

 

bottom of page